কুমির
ইয়াছিন আলী
সূর্য বসেছে পাটে নামিবে ঘোর আঁধার
রাত্রি নিশীথে যাত্রীদের পারাবার।
মাঝি নাই ঘাটে, নৌকা বাঁধা তটে
ভাগ্যকূল হারালো বুঝি ঘটে।
স্রোতে উঠেছে মেতে উথলে উঠে কিনারে
ভেঙ্গে নিঃশেষ করে সবারে।
দুরুদুরু চঞ্চল বুক আজ ভয়ে শঙ্কিত
মৃত্যুর থাবার গ্রাসে অঙ্কিত।
আসেনা মাঝি ধরেনা হাল, যাত্রীদের আঁধার
নেমেছে আজ কালবৈশাখীর তার।
তাণ্ডব লীলায় মেতেছে সর্বগ্রাসীর উম্মুক্ত খেলায়
ভীমেরা বসায়ে উৎসবের মেলায়।
কান্নার রোলে প্রকম্পিত হলো আকাশ বাতাস
অসহায় যাত্রীদের শেষের বিনাস।
জলে ছাপালো দুকূল ভাঙ্গলো সাধের বাড়ীঘর
একে একে করে পর।
নতুন করে হাল ধরার মাঝি নাই
কে আর বাঁচাবে ভাই।
জলের তোড়ে কুমির এসেছে ঐ ভেসে
ইচ্ছেমত আজ খায় শেষে।
অভাগা জাতি হারায়ে গেল নতুন মাঝি
কেউ নাই আজ রাজি।
এমনি করে মা’র খা সারাজনম ভর
আর জাগবেনা তোদের ভোর।