কোলাহল
ইয়াছিন আলী
যেথায় ছিল ছোট্টকালে, বাল্য সাথীদের নিয়ে খেলা
কোলাহলে কেটেছে কত মধুচন্দ্রিমার অলস বেলা।
দল বেঁধে ছুটেছি কত পথ প্রান্তর ঝোপঝাড়।
সন্ধ্যা বেলায় পেড়েছি অনেক খেজুর গাছের ভাড়।
আড়ালে বসে খেয়েছি কত সেই মিষ্টি মধুর রস
কাটারি ভেবেছে অনেক আমাদের করবে বস।
খালি ভাড়গুলি রেখে দিয়েছি আবার গাছের তলে
হাড় কাঁপা শীতে ফিরেছি মায়ের ঘরে নানান ছলে।
সূর্য উঠার আগে আসতো গাছ তলে কাটারি আপন মনে
চোখের জলে ডাকতো লোক বসন গায়ে আসতো জনেজনে।
সকাল বেলায় বসতো সালিশ, কারা পেড়েছে গাছের ভাড়?
ধরে নিয়ে আয়রে তোরা সবার সামনে ভাঙ্গরে তাদের হাড়।
পাড়ার কেবা ঘুমায়ে আছে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখ
তাদের নামটি সবার আগে সুন্দর করে লেখ।
পড়লো ধরা বন্ধু আমার, শালা মস্তবড় চোর।
রস নিয়ে ঘুমায় ছিল, এখন হয়ে গেল ভোর।
বসলো সালিশ সবাই ঘিরে, দেখছি মোরা চুপটি বসে
মোড়ল মশায় ধমক দিলেন ঐ জোরসে এক কষে।
“বলরে বেটা বল, তোর সাথে কে ছিলে?
নাইবা বলিস ভিজবি এবার বিলে”।
আমার সবাই দাঁড়ায় গেলাম বললাম সবাই চোর
বিচার হোক মোড়ল মশাই এখন নাইবা হতে ভোর।
চক্ষুচড়ক ভাবনা মনে এরাই হলো চোর
এবার বলো তোমরা সবে কেমনে খুলবে দ্বার।
সেই দিনটি কোথায় গেল ভাবি একা বসে
চোখের জলে ভাসি এখন নিজের মহাদোষে।
অনেক বন্ধু চলে গেছে নিজের পরম দেশে
কোথায় আছে, কেমন আছে, তাহার আপন বেশে?